কবিতা- ভাবনাতে নেতাজি

ভাবনাতে নেতাজি
– রাখী চক্রবর্তী

 

তোমার ছবিতে মালা
একটু নিখুঁত করে দিতে হয়।
ফুল গুটিয়ে গেলে আমার ভালো লাগে না।
পরিপাটি করে তোমার ছবি না সাজালে মন খারাপ হয়।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে
আগে তোমাকে দেখতেই হবে,
রুটিনের নড়চড় আজও হয়নি,
রোজকারের মতো তোমার ছবি চন্দন ও ফুল দিয়ে সাজাচ্ছি।
দি…দি…দি দি পরাণ চিৎকার করে আমার দিকে আসছে আর বলছে,
সে আসছে, যার ছবি বইতে আছে
আমি কম্পিত স্বরে বললাম, কে কে আসছে?
নেতাজি দিদি নেতাজি,
ক্ষণিকের জন্য হলেও আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম
শাঁখের ধ্বনি, উলু ধ্বনিতে আকাশ বাতাস কেঁপে উঠল,
আরো একবার মরা গাঙে বান এল,
আরো একবার শুষ্ক ধান ক্ষেতে ধানের চারা সজীব হল,
হারাণের রুগ্ন বাচ্চাটা আর কাঁদছে না,
গাছের সব ফুলগুলো মালা হয়ে ধরণীর বুকে পড়ছে ।
সব কণ্টক ফুলে পরিণত হচ্ছে।
শিহরিত উচ্ছাসিত আমি, ওই তো আমার ভগবান,
দৃষ্টিশক্তি যতদূর যায়, এক বর্ণাঢ্য আলোর ঝলকানিতে মত্ত আলোক সজ্জায় আমার ভগবান বিরাজমান!
চরণ ছুঁতে যাবার মুহূর্তে মা বলে উঠলেন ওঠ রে আজ নেতাজির জন্ম দিন,
ঘুম থেকে উঠেই ভাবি কখন হবে রাত।
স্বপনে তোমায় দু’চোখ ভরে দেখব আবার, মিটবে আমার সাধ।

Loading

Leave A Comment